আমাদের রোজকার জীবন যাত্রায় যেখানেই যন্ত্রের ব্যবহার সেখানেই বিশ্বকর্মার উপস্থিতি। কলকারখানা থেকে শুরু করে যানবাহন, দোকানপাট সর্বত্রই তিনি বিরাজমান। তাই প্রতিটি হিন্দুর জীবনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বাবা বিশ্বকর্মার অবদান রয়েছে। আজকের শুভদিনে বাবা বিশ্বকর্মার আরাধনা করে তাকে তুষ্ট করুন এবং নিজের জীবনে নিয়ে আসুন অপার সমৃদ্ধি।
আজ সকালে স্নানের সময় অবশ্যই জলে কালো তিল মেশান এবং সকাল সকাল স্নান সেরে নিন। নিজের কোন যানবাহন থাকলে অবশ্যই তা ধুয়ে মুছে সাফ করে রাখুন। আপনি যদি বিশ্বকর্মা পুজো করে থাকেন তাহলে অবশ্যই বাবা বিশ্বকর্মার হাতে কাশফুল দিন। আজকের দিনে অবশ্যই বাড়িতে নিরামিষ আহারের ব্যবস্থা রাখুন।
বিশ্বকর্মা পুজোর নৈবেদ্যতে সাদা মিষ্টি, যে কোনও হলুদ ফল ও ফুল এবং বাতাবি লেবু যেন অবশ্যই থাকে। এভাবেই আপনি বাবা বিশ্বকর্মার অসীম কৃপা নিজের ওপর পেতে পারেন এবং নিজের সমৃদ্ধিকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারেন। বিশ্বকর্মা ঠাকুরের হাতে একটি ঘুড়ি দিন এবং সেই ঘুড়িটি পুজো হয়ে গেলে নিজের ব্যবসার জায়গায় বা বাড়িতে রাখুন। এতে আপনার অনেক উপকার হবে।
প্রতি বছর ইংরেজি মাস সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখে এই পুজো হয়ে থাকে। এর কারণ হল, হিন্দু দেবদেবীদের আরাধনা মূলত চন্দ্রের গতিবিধি অনুসারে হয়ে থাকে। কিন্তু, বিশ্বকর্মা পুজো হয়ে থাকে সূর্যের গতিবিধির ভিত্তিতে। যখন সূর্য সিংহ রাশি থেকে কন্যা রাশিতে গমন করে, তখন সময় আসে তখনই এই পুজো হয়ে থাকে। মনে করা হয় এই সময় দেবতারা নিদ্রা থেকে জেগে ওঠেন।
এই বছর এই বছর বিশ্বকর্মা পুজো পড়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর (বাংলায় ৩১ ভাদ্র), শনিবার।
সপ্তমী তিথি ছাড়ছে ঘ ৩/৫৫/২৯ -এ।
সূর্যর কন্যা রাশিতে গমন- সকাল ৭. ৩৫ মিনিট।