পশ্চিমবঙ্গের নেতামন্ত্রীরা একাধিকবার জড়িয়ে পড়েছেন নানা বিতর্কে। কখনও দুর্নিতি আবার কখনও বা হাত পেতে টাকা নেওয়া! সবেতেই বারবার কলুষিত হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। কিন্তু এতকিছুর পরেও কেউ কেউ শাস্তি পেয়েছেন আবার বেশিরভাগই ঘুরছেন খোলা আকাশের নীচে। সম্প্রতি যেমন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় SSC দুর্নীতির জেরে নাস্তানাবুদ হচ্ছেন কিন্তু তৃণমূলের দাবি টেট কেলংকারি এবং নারদায় হাত পেতে টাকা নিয়েও দিব্যি বুকফুলিয়ে ঘুরছেন শুভেন্দু অধিকারী।
একসময় রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের বড় মুখ ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেইসময় তিনি রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীও ছিলেন। কিন্তু একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। তৃণমূলের দাবি বিজেপিতে নাম লেখানোর কারণেই কোন কেন্দ্রীয় সংস্থা কখনও শুভেন্দুকে ডাকেনি এবং তিনি এখন বড় বড় কথা বলছেন।
শাসকদলের নেতাদের এই টিপ্পনী এতদিন মুখ বুজে হজম করছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে এবার মুখ খুলেছেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘ও সব দিয়ে কিছু হবে না। আমাকে তো ডেকেছিল। বলে এসেছি, ভাইপো করিয়েছে কে ডি সিংহকে দিয়ে। ওটা করাপশন নয়, কনস্পিরেসি। গিয়ে বলে এসেছি। তাই আর ডাকে না।’
২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যবাসীর সামনে এসেছিল একটি স্টিং অপারেশনের ভিডিও যেখানে বহু হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীকে হাত পেতে টাকা নিতে দেখা গেছে যার মধ্যে সৌগত রায়, শুভেন্দু অধিকারীর মত নেতারাও ছিলেন। কিন্তু আজও এই মামলার কোন নিষ্পত্তি হয়নি! কবে হবে তাও সকলের অজানা।
রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সবসময় আক্রমণ শানাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের প্রতি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূলের সকলকেই এক নাগাড়ে দুষে চলেছেন তিনি। আগামী দিনে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোন দোষ প্রমাণ হয় নাকি সেটাই দেখার।