
পথের নিরাপত্তা নিয়ে মানুষকে আরো সচেতন করতে এবার নতুন একধরনের “সেন্সর কন্ট্রোল বাইক হেলমেট” আবিষ্কার করে মুর্শিদাবাদের সদর শহর বহরমপুরের ছাত্র সৌরভ সাহা সবাইকে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকার বাসিন্দা পেশায় নবগ্রাম বিডিও অফিসের কর্মী অসীম কুমার সাহার বড় ছেলে হলো সৌরভ। ছোট থেকেই সে তাঁর পড়াশোনার পাশাপাশি চেয়েছিল নতুন কিছু আবিষ্কার করার। আর তাঁর এই চিন্তাভাবনা নিয়েই ক্রমাগত সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে সৌরভ। প্রথমে সৌরভ বহরমপুর জিটিআই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেন, তারপর সে বহরমপুরের গোয়ালজান রিফিউজি স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর বহরমপুরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়। এখন সৌরভ ইঞ্জিনিয়ারিং-য়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সম্প্রতি সে পথ নিরাপত্তা নিয়ে মানুষকে আরও সচেতন করতে নিজের প্রচেষ্টা এবং নিজের উদ্যোগেই “সেন্সরযুক্ত কন্ট্রোল বাইক হেলমেট” তৈরী করে ফেলেছে। এই হেলমেটের বিশেষত্ব হলো এই হেলমেট না পড়লে আর কোন মোটর বাইক চালানো যাবে না। সৌরভ জানিয়েছেন যে, এই “সেন্সর কন্ট্রোল বাইক সিস্টেম হেলমেট” তৈরি করতে তাঁর খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন হয়নি।
মূলত তাঁর লেগেছে একটি মিনি কম্পিউটার, একটি কানেক্টার এবং একটি হেলমেট। এই হেলমেটের সাথে সেন্সর কানেক্ট করা আছে৷ আর ওই কানেক্টারটি কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত৷ অর্থাৎ কেউ যদি হেলমেট না পড়ে বাইক চালাতে চান, তাহলে আর বাইক স্টার্ট হবে না৷ হেলমেট থেকে সেন্সরের মাধ্যমে মিনি কম্পিউটারে জানান দেওয়া হবে, এবং তারপরেই কম্পিউটার বাইক চালু করার অনুমতি দেবে৷ একদিকে যখন রাজ্য সরকার পথ নিরাপত্তা আরো জোরদার করতে রাজ্য জুড়ে জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছে এবং স্লোগান দিচ্ছে যে, “বাইক চালানোর সময় হেলমেট পড়ুন, সিটবেল্ট পরে গাড়ি চালান”। কিন্তু এতো প্রচার করা সত্ত্বেও প্রায় প্রতিদিনই বাইক দুর্ঘটনার কারণে প্রাণ যাচ্ছে অনেকের। বহরমপুরের এই ছাত্র “সৌরভ সাহা” কিন্তু এবার বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি রুখতে তার নিজের উদ্যোগেই মাত্র ৫০০ টাকা খরচ করে তৈরি এই অভিনব সেন্সরযুক্ত হেলমেট করে ফেলেছে। এখন সৌরভ সাহা চাইছে যে, তার এই সাফল্যের কথা সকলের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া হোক৷ যাতে সবাই বাইক চালানোর সময় এই নতুন হেলমেট অবশ্যই ব্যবহার করে, সে চায় তার এই সাফল্যের কথার প্রচার সরকারও করুক।