
তখনও কেউই জানেন না কিছু, গ্রামের বাড়িতে তখন বাড়ির সবাই টিভি-তে সিরিয়াল দেখছিলেন৷ বাড়ির বাচ্চারা তখন বাইরে আপন মনে খেলা করছে। পুলওয়ামায় তখন এই ভয়াবহ হামলা ঘটে গিয়েছে৷ বাড়ির একমাত্র ছেলে রতন কুমার ঠাকুর যে আর বেঁচে নেই, এই মর্মান্তিক খবরটা তখনও তার পরিবার পায়নি৷ বিহারের ভাগলপুরের ছেলে রতন আর্মি তে চাকরি পাওয়ার পরই তার প্রথম পোস্টিং ছিলো কাশ্মীরে৷ ঠিক সন্ধ্যা ৭টায় যখন শ্রীনগর থেকে একটা ফোন আসে, তখনও রতনের পরিবার জানতে পারেন যে, তাদের ঘরের ছেলে আর বেঁচে নেই। খবরটা পাওয়ার পরেই কান্নার রোল উঠল বাড়িতে৷ রতনের ৪ বছরের শিশুটি এখনও জানে না যে, তার বাবা আর নেই৷ রতনের স্ত্রী রাজনন্দিনী দেবীর গর্ভে এখন সন্তান৷ কোম্পানি কম্যান্ডরের ফোনটি আসার পরেই শহিদ রতনের স্ত্রী রাজনন্দিনী দেবী রীতিমত বাকরূদ্ধ হয়ে গিয়েছেন৷ রতনের বাবা নিরঞ্জন কুমার ঠাকুর বলেছেন যে, ‘সন্ধে ৭টা নাগাদ কোম্পানি কম্যান্ডর ফোন করে, রতনের নম্বর চাইছিলেন, তারপর বাবা ও স্ত্রীর নাম জিজ্ঞেস করলেন, তারপরেই আমরা এই খবরটা পেলাম৷’ একমাত্র রতন কুমার ঠাকুরই এই পরিবারের একমাত্রা রোজগেরে সদস্য ছিলেন৷ ভাগলপুরে একটি ছোট বাড়িতে ভাড়া থাকেন রতনের পরিবার৷