
অফলাইন ম্যাপ— গুগল ম্যাপের একটি সুবিধা হলো অফলাইন অবস্থাতেও আপনি যে কোনও ম্যাপ ডাউনলোড করে রাখতে পারবেন আপনার ফোনে এবং পরবর্তীকালে দরকার পড়লে আপনি আপনার ফোন ওয়াই-ফাইয়ের সঙ্গে কানেক্ট করে সেটা আপডেটও করিয়ে নিতে পারবেন।
ডিফল্ট অ্যাডরেস— গুগল ম্যাপের ‘ইয়োর লোকেশন’ বলে যে অপশন থাকে সেখানে গিয়ে আপনি আপনার নিজের বাড়ি এবং অফিসের ঠিকানা অনায়াসেই সেভ করে রাখতে পারেন। এর ফলে আপনি— প্রতিদিন যখন আপনি বাড়ি থেকে অফিস যাতায়াত করবেন তখন আর আপনাকে নতুন করে লোকেশন সেট করতে হবে না।
লোকেশন শেয়ার করা— অনেক সময় এমন হয় যে, ধরুন আপনি আপনার কোনও পরিচিত বন্ধুকে আপনার বাড়ির ঠিকানা দিয়েছেন। কিন্তু তিনি ভুল করে রাস্তা গুলিয়ে ফেলেছে ফলে আর কিছুতেই আপনার বাড়ির ঠিকানা সে খুঁজে পাচ্ছে না। এরকম সময়ে যদি আপনি আপনার লোকেশন আপনার বন্ধুকে শেয়ার করেন তাহলে সে আপনাকে খুব সহজেই খুঁজে পাবেন।
প্রয়োজনীয় স্থান খোঁজা— ধরুন আপনি আপনার গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছেন কিন্তু তার আশপাশে আপনার পরিচিত কোনও রেস্তোরাঁ বা দোকানের নাম আপনার কিছুতেই মাথায় আসছে না। তখন যদি আপনি আপনার ফোনের গুগল ম্যাপের ‘প্লেসেস নিয়ারবাই’ অপশনে যান তাহলে আপনি অনায়াসেই আপনার গন্তব্য খুঁজে পেয়ে যাবেন।
এক হাতে জুম করুন— রাস্তায় চলতে চলতে কোনও গন্তব্য খোঁজার সময়ে দুই হাত দিয়ে স্ক্রিন জুম করাটা একটু কঠিন হয়ে পড়ে। তাই একহাত দিয়ে ডাবল ট্যাপ করুন, দেখবেন স্ক্রিন জুম হচ্ছে।
ট্রেন বা বাসের সময়— কখন কোন ট্রেন বা বাস আছে তার সময় তালিকাও কিন্তু ম্যাপে নথিভুক্ত করা থাকে। আপনার যদি কখনো প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি ফিল্টার ব্যবহার করে বাস, ট্রেনের রুট এবং টাইমিং জেনে নিতে পারবেন।
নিজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করুন— আপনি হয়তো আগে কোনও এক জায়গায় গিয়েছেন, কিন্তু কিছুতেই তার নাম আপনি মনে করতে পারছেন না, যদি কখনো এরকম পরিস্থিতিতে পড়েন তাহলে আপনি আপনার ম্যাপ হিস্ট্রিতে গিয়ে নিজের ম্যাপ খুব সহজেই ট্র্যাক করে দেখতে পারবেন। হারিয়ে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই এখানে ।
মিসিং প্লেস অ্যাড করা— ধরুন কোনও জায়গায় আপনি অনেক আগে গিয়েছেন কিন্তু গুগল ম্যাপে তার কোনও প্রমাণ আপনি খুঁজে পাচ্ছেন না। যদি এরকম অবস্থা হয় তাহলে ‘অ্যাড এ মিসিং প্লেস’ অপশনে গিয়ে কোনও ঠিকানা অনায়াসেই সেখানে যোগ করতে পারেন।