বর্তমান যুগে তরতর করে এগিয়ে চলছে প্রযুক্তি। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির এই দ্রুত অগ্রগতির ফলে ক্রমশই পৃথিবীতে আসছে নতুন নতুন কনসেপ্ট যার হাত ধরে আমূল বদলে যেতে চলেছে মানুষের জীবনযাত্রা। সেরকমই আগামী দিনে পৃথীবীতে আসতে চলেছে নতুন প্রযুক্তি যার নাম ‘মেটাভার্স’। এই শব্দটির সাথে এখনও অনেকে পরিচিত না হলেও যারা একটু ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করে তারা শব্দটি অবশ্যই শুনেছে।
কী এই মেটাভার্স?
‘মেটাভার্স’ শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘মেটা’ যার অর্থ ‘পরবর্তী’ এবং ‘ইউনিভার্স’ যার অর্থ ‘বিশ্ব’। খুব তাড়াতাড়ি আসতে চলেছে ওয়েব 3.0 যার হাত ধরে বদলে যেতে চলেছে আমাদের ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের অভিজ্ঞতা। যেখানে থাকবে একটি ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি। একটু সহজ করে বললে, এখন আপনি দূরে বসে থাকা আপনার বন্ধুর সাথে ভিডিও কলের মারফত কথা বলেন কিন্তু ‘মেটাভার্স’এর মধ্যে দিয়ে আপনি তা অনুভব করতে পারবেন বাড়িতে বসেই। অর্থাৎ আপনার বন্ধু আপনার কাঁধে হাত রাখলে আপনি তা অনুভব করবেন। এর জন্য আসবে অত্যাধুনিক কস্টিউম, ভি আর গ্লাস ইত্যাদি ইত্যাদি।
‘ফেসবুক’ কিছুদিন আগেই নিজের নাম পরিবর্তন করে ‘মেটা’ করেছে কারণ এখন থেকেই তারা ‘মেটাভার্স’ নিয়ে রিসার্চ করতে শুরু করে দিয়েছে আর ১০-১৫ বছরের মধ্যেই ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি কে সত্যি করতে চায় ফেসবুক। সেখানে থাকবে ভার্চুয়াল জমি, বাড়ি, দোকান সবকিছুই। থাকবে তা কেনাবেচার সুযোগ সুবিধা।
আর এবার ভারতের প্রথম ‘মেটাভার্স’এ জমি কিনলেন জনপ্রিয় গায়ক দালের মেহেন্দি। তিনি এই জমির নাম দিয়েছেন ‘বল্লে বল্লে ল্যান্ড’। এই জমি যেখানে শুরু সেখানে দালের মেহেন্দির একটি সোনার স্ট্যাচু থাকবে। তবে সবটাই হবে ভার্চুয়াল। আপাতত দালের মেহেন্দির এই জমির বিষয়ে হই হই পড়ে গেছে গোটা দেশের নেটিজেনদের মধ্যে।
আগামী দিনে ‘মেটাভার্স’ আসবেই তা একপ্রকার নিশ্চিত করেছে ফেসবুক থেকে শুরু করে আরো কিছু সংস্থা। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ‘মেটাভার্স’ নিয়ে উন্মাদনা রয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরে। তবে এখনও বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার নয় তবে আগামী দিনে প্রযুক্তি যত এগোবে মানুষও তার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।