বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের সময় একেবারেই ভালো যাচ্ছেনা। দলের একাধিক নেতা মন্ত্রীদের পেছনে লেগেছে সিবিআই এবং ইডি। একদিকে SSC দুর্নীতি মামলায় জেলে খাটছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অন্যদিকে আজ সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমুল কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক অনুব্রত মণ্ডলকে।
দোর্দন্ডপ্রতাপ এই নেতা একাধিকবার নিজের ডায়লগবাজির জন্য খবরের শিরোনামে এসেছেন। বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে একাধিকবার হিংসাত্মক ভাষণ দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল, যার কারণে তাকে নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধলেও দলীয় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তার সম্পর্ক ভালই।
গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের বডি গার্ড সাইগল হোসেনকে জেরা করে অনুব্রত মণ্ডলের নাম পাওয়া যায়। এরপর সিবিআই জানতে পারে সায়গলের ফোন ব্যবহার করে গরু পাচারকারীদের সাথে যোগাযোগ করতেন নেতা। সাথে ছিল বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন।
গরু পাচার কাণ্ডের জেরা করার জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে বারবার সিবিআই তলব করলেও শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে তিনি সেই জেরা এড়িয়ে গেছেন। গতকালও সিবিআই তাকে তলব করেছিল, নেতার বাড়িতে পৌঁছে গেছিল নোটিশ কিন্তু সেখানেও তিনি যাননি, এরপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল কেন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সিবিআই? সমাজের বিভিন্ন মহলে এই নিয়ে মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছিল।
তবে আজ সকালে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সিবিআই। সকাল হতে না হতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় নেতার বাড়ি। ভেতর থেকে তালা লাগিয়ে দেয় সিবিআই। সোজা ওপরে চলে যায় তারা। এরপরেই সেখানে কিছুক্ষণ কথা বলে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন তৃণমূলের জেলা সম্পাদক, এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের। তবে এখনও অ্যারেস্ট মেমোয় অনুব্রত মণ্ডলকে দিয়ে সই করানো হয়নি।